লেনদেন ভারসাম্যের উন্নতিতে কতটা সন্তুষ্ট হতে পারি

লেনদেন ভারসাম্যের উন্নতিতে কতটা সন্তুষ্ট হতে পারি

দেশে চলমান সামাজিক ও রাজনৈতিক ধারাবাহিক অস্থিতিশীলতার মাঝে অর্থনীতির জন্য এক বড় সুখবর হলো

বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) উন্নতি। ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১২-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিজার্ভে নিম্নগতি ও তার পরিপ্রেক্ষিতে টাকার অবমূল্যায়নের ঘটনা বিনিয়োগকারী ও সাধারণ মানুষের মনে এখনো সমুজ্জ্বল। তাই সাম্প্রতিক ওই উন্নয়নের যে প্রতিফলন রিজার্ভ বৃদ্ধি ও টাকার মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে পরিলক্ষিত হলো, সেটি স্বস্তিদায়কও বটে। কথা হলো, বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যে এ উন্নতির ব্যাখ্যা কী? এ ঊর্ধ্বগতি টেকসই হবে কিনা? এতে নীতি ব্যবস্থাপনার অন্তর্নিহিত ভূমিকা ছিল কতটা? আজকাল এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে অনেক মহলেই। মানুষের আগ্রহ দেখে মনে হলো, বৃহত্তর পাঠকের কাছে এ বিষয়ে আমার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরি। সে অভিপ্রায়েই এ নিবন্ধ।

প্রশ্ন হলো, কী কী উপাদানে পরিবর্তন বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যকে ইতিবাচক অবস্থানে ফেরাল? একাধিক কারণ রয়েছে এর। প্রথমত. নীতিগত উন্নয়ন আরো নির্দিষ্ট করে বললে মুদ্রানীতিতে আনা কয়েকটি সংশোধনী। ভুলে যাননি নিশ্চয়ই, ২০১০ ও ২০১১ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ছিল শিথিল। সে সময় অতিরিক্ত তারল্য মূল্যস্ফীতির ওপর কাজ করে আগুনে ঘি ঢালার মতো। ফলে আরো বাড়ে মূল্যস্ফীতি; ফুলে ওঠে সম্পদের বুদ্বুদ (অ্যাসেট বাবল)। ২০১১-১২ অর্থবছরে চাহিদা প্রান্তের (ডিমান্ড সাইড) ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়। সে কারণে মূল্যস্ফীতি ও আমদানির মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। ২০১২ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে হয় মুদ্রানীতি সংশোধন করা হয়। এতে কমে আসে মূল্যস্ফীতি, সম্পদের দামে ঊর্ধ্বগতি এবং বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের ওপর চাপ। তার সুফল ২০১৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধেও পেয়েছি আমরা। পাঠকের বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, মূল্যস্ফীতি কমাতে উপযুক্ত মুদ্রানীতি জরুরি। মুদ্রা বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা ও সম্পদের দাম স্থিতিশীল রাখায়ও এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

দ্বিতীয় যে কারণে বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যে উন্নতি হয়েছে সেটি হলো, রফতানি আয়ের কিছুটা ঊর্ধ্বগতি। ২০১১-১২ অর্থবছরে গড় বার্ষিক রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৬ শতাংশ। রফতানি খাতের এ প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধার অভিযানে স্বভাবতই নেতৃত্ব দিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প এবং পাট ও পাটজাত পণ্য। তবে একই সময়ে খাদ্যপণ্য, চা, কাঁচা পাট, চামড়া ও বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য রফতানিতে অবনতি হয়েছে। তৃতীয়ত, বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যে জোরালো রেমিট্যান্স প্রবাহের সুপ্রভাব। এ অন্তঃপ্রবাহের চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে এর পরিমাণ ১৪ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড ছাড়িয়েও নতুন মাইলফলক স্থাপিত হতে পারে ২০১৩ অর্থবছরে। লেনদেন ভারসাম্যে উন্নতির চতুর্থ ও সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ— আমদানির রাশ টেনে ধরতে সক্ষম হওয়া। ২০১২ সালের প্রথমার্ধে সামগ্রিক আমদানি সম্প্রসারিত হয় আনুমানিক ১৭ শতাংশ। অথচ নমিনাল ডলারে ২০১৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে এটি নেমে প্রায় ৮ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়ায়। আমদানির এ পতন ঘটেছে বিস্তৃত পরিসরে; যদিও তুলনামূলকভাবে বেশি কমেছে ভোগ্যপণ্য আমদানি। এ প্রেক্ষাপটটি বিমিশ্র ইঙ্গিত দেয় আমাদের। বিশেষত মধ্যবর্তী ও মূলধনি পণ্য আমদানি কমে আসার বিষয়টি প্রকারান্তরে দেখিয়ে দিচ্ছে— কেন বর্তমানে স্থানীয় বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে ভাটা চলছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে নিম্নগামী হয়েছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি।

বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যে উন্নতির পঞ্চম উপাদান অবশিষ্ট পুঁজির অন্তঃপ্রবাহের (নেট ক্যাপিটাল ইনফ্লো) ঊর্ধ্বগতি। সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই এটি বাড়ে ২০১৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে। চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে এমন ঘটনার সার্বিক বিশ্লেষণ দরকার। তা সত্ত্বেও এর সম্ভাব্য আংশিক কারণ দেখানো যায় একটা। সেটি হলো, ২০১১ ও ২০১২ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে পুঁজির বহিঃপ্রবাহ (ক্যাপিটাল আউটফ্লো) কমে যাওয়া। মুদ্রানীতি সংশোধন ও তার সঙ্গে ডলারের চাহিদা হ্রাসের বিষয়টিও মনে হয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এক্ষেত্রে। এতে সহযোগিতা জুগিয়েছে বিদেশী বেসরকারি ঋণ গ্রহণে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্বিকভাবে বলা যায়, মূলধনি হিসাবের এ ইতিবাচক ও বলিষ্ঠ উন্নতি অর্থনীতিতে এক বড় অগ্রগতি। টেকসই হলে এটি বৃহত্তর সুফল বয়ে আনবে আমাদের বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধিতে।

কথা হলো, বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের ওই উন্নতি কতটা টেকসই? অনস্বীকার্য যে, পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধার হয়েছে এবং এটি সুখবর। জটিলতা হলো, এর বেশির ভাগই সম্পন্ন হয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের অবদানে এবং বেশকিছু পণ্য রফতানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিও দেখেছি আমরা। রফতানিতে তৈরি পোশাকের অংশগ্রহণ আরো বেড়েছে এতে। বলছি না, আমাদের তৈরি পোশাকশিল্পের সম্ভাবনা নিঃশেষিত প্রায়। তা নয়, বরং এটি বাড়ানোর সুযোগ আরো রয়েছে। কিন্তু আমরা তো চাইছি বাংলাদেশের রফতানি ভিত্তিকে অর্থবহভাবে প্রসারিত করতে। একাধিক পণ্যের রফতানি বৃদ্ধিই কাম্য ছিল তাই। সেটি না হওয়ায় নীতিগত চ্যালেঞ্জ অব্যাহত থাকবে এবং রয়ে যাবে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টির ঝুঁকি। পুরো প্রেক্ষাপটটি ভালোভাবে চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে, বিশেষত শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের মতো কিছু তাত্ক্ষণিক ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুও তো রয়েছে। কঠিন হলেও এসবের মীমাংসা হতে হবে; দৃষ্টি দিতেই হবে রফতানিপণ্য বৈচিত্র্যকরণের দিকে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিস্থিতির গভীর বিশ্লেষণে পরস্ফুিট হয়ে ওঠে— বাণিজ্যনীতিতে লুক্কায়িত বিরোধিতাই বাধা সৃষ্টি করছে রফতানি বৈচিত্র্যকরণে। অবকাঠামোগত দুর্বলতাও এক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে বিবেচিত। যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে অপসারণ করতে হবে এগুলো।

দেশে সেবা রফতানি একটি উজ্জ্বল প্রতিচিত্র দেখাচ্ছে। অব্যাহত রয়েছে রেমিট্যান্স সম্প্রসারণ। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে উজ্জ্বল হতে থাকা বিনিয়োগ পরিস্থিতি, প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধার ও জ্বালানি তেলের তেজিভাব দেখে মনে হয়, আগামী বছরগুলোয় এসব উত্স থেকে আসা অর্থ প্রবাহে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে আমাদের রফতানি আয়। এখানকার ব্যাংকিং সেবায় উন্নতি ও মুদ্রা বিনিময় হারের সহজবশ্য (ফ্লেক্সিবল) ব্যবস্থাপনা সহায়তাকারী অতিরিক্ত উপাদান হিসেবে কাজ করবে বলেও ধারণা।

বর্তমান আমদানি পরিস্থিতি দিচ্ছে মিশ্র বার্তা। কিছু খাতে গত দু-তিন বছর লাগামছাড়া আমদানি হয়, সেসব চাহিদা যে কমানো গেছে— এটি ইতিবাচক বৈকি। আগেই উল্লেখ করেছি, এতে আংশিক সহায়তা জোগায় মুদ্রানীতিতে সংশোধন। তবে দুশ্চিন্তা হলো, বাংলাদেশের আমদানি ব্যয়ের বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে বিশেষত মূলধনি পণ্য ও কাঁচামাল। সেজন্য এসব দ্রব্যের আমদানি কমার লক্ষণ ভালো নয়। চার-পাঁচ বছর ধরে কার্যত পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে না বিনিয়োগের ধারায়। জিডিপির তুলনায় কমবেশি ২৪-২৫ শতাংশই থাকছে এর হার। বিষয়টিকে মোটেও সুখবর বলা যাবে না। বিনিয়োগ ত্বরান্বিত না হলে কিন্তু প্রাক্কলন অনুযায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পারব না আমরা; অর্জিত হবে না ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় রক্ষিত রফতানি বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রাও।

বিনিয়োগ হারের উন্নতি না হওয়ার জন্য মুদ্রানীতিকেই দোষারোপ করতে চান অনেকে। তবে বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন স্পষ্ট করে যে, ধারণাটি ভুল। বিনিয়োগের বেলায় অভ্যন্তরীণ তারল্যের সংকট রয়েছে— তা বলা কঠিন। আমাদের বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়ছে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অর্থাত্ ১৮-২০ শতাংশ করে। তা সত্ত্বেও বিনিয়োগ হার আশাপ্রদ না হওয়ার বড় কারণ হতে পারে সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষত বিদ্যুত্-জ্বালানি ও যোগাযোগ খাতে অবকাঠামো কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের সাফল্যের অভাব। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় অন্তরায় জমিসংক্রান্ত জটিলতা; তৃতীয়টি দক্ষতায় ঘাটতি। নিম্ন বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ এফডিআই যেটি আনে নতুন প্রযুক্তি ও জ্ঞান এবং যার সহায়তায় বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশ সুগম হয়, সেটি আশানুরূপ বিনিয়োগ না বাড়ার চতুর্থ উপাদান। মুদ্রানীতির কিছুই করার নেই এসব ক্ষেত্রে।

এসব প্রতিবন্ধকতা দূর হলে কিন্তু বেড়ে যাবে আমদানি চাহিদা। আবার স্বল্পমেয়াদে আমাদের রিজার্ভ বৃদ্ধির আংশিক রহস্য হলো আমদানি সংকোচন। তাই আমি রিজার্ভ বৃদ্ধি নিয়ে উচ্ছ্বসিত হতে পারছি না। অন্যদিকে মূলধনি হিসাবে সৃষ্ট উন্নতির স্থিতিশীলতা নিয়ে আরো মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণের কথাই বলব। চলতি হিসাবে বাংলাদেশ ভালো করার বড় কারণ— মুদ্রানীতি সংশোধন ও সহায়তামূলক বিদেশী বেসরকারি ঋণনীতি। এ দুটি নীতি অব্যাহত থাকলে টেকসই হতে পারে উন্নয়নটি। তবে সমস্যা হলো, বিদেশী ঋণ গ্রহণের গ্রন্থিবদ্ধ (আর্টিকুলেটেড) কৌশল নেই এখানে। বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগও খুবই কম। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগ পরিবেশ অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী বিনিয়োগকারীর জন্য স্বস্তিদায়ক নয়। এসব বিষয়ে দ্রুত ও দৃশ্যমান নীতিগত উন্নতি ঘটাতে না পারলে সংশয় রয়েই যাবে মূলধনি হিসাবের চলতি উন্নয়ন টেকসই রাখা নিয়ে।

উল্লিখিত পর্যবেক্ষণ থেকে কিছু নীতিগত বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। প্রথমত. ২০১২ সালের প্রথমার্ধে গৃহীত মুদ্রানীতিটি অব্যাহত রাখতে হবে। অবশ্য আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সহজ হবে না এটি বাস্তবায়ন। দ্বিতীয়ত. মনোযোগ বাড়াতে হবে রফতানি বৈচিত্র্যকরণে। অর্থ মন্ত্রণালয়কে জোর দিতে হবে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং প্রপার্টি কর থেকে রাজস্ব বৃদ্ধিতে। এসবের বদলে বাণিজ্যিক রাজস্বের ওপর অধিক নির্ভরশীলতা বজায় রাখা হলে সেটি রফতানি নিরুত্সাহিতকরণ তথা অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ সিদ্ধান্তেও ফেলতে পারে নেতিবাচক প্রভাব। অতীতে প্রকৃত বিনিময় হার মূল্যায়ন (রিয়েল এক্সচেঞ্জ রেট অ্যাপ্রিসিয়েশন) এড়িয়ে চলায় সহায়তা জুগিয়েছে মুদ্রা বিনিময় হারের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থাপনা। এতে সুবিধা পেয়েছে রফতানি প্রবৃদ্ধিও। সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রফতানিকে সুরক্ষিত রাখতে আসছে সময়েও প্রকৃত বিনিয়ম হারের অধিক মূল্যায়ন থেকে দূরে থাকতে হবে। তৃতীয়ত. প্রমাণ-পর্যবেক্ষণ বলছে অবকাঠামোগত দুর্বলতা বাধা সৃষ্টি করছে; বিশেষত স্থানীয় বেসরকারি বিনিয়োগ, ম্যানুফ্যাকচারিং ও রফতানি ক্ষেত্রে। এটি দূর হলে এগিয়ে যাবে রফতানি বৈচিত্র্যকরণ। এ লক্ষ্যে বিদেশী ঋণগ্রহণের একটি ভালো কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। বাস্তবসম্মত পথ খুঁজে বের করতে হবে, যাতে অবকাঠামোয় পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের বন্দোবস্তগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়। বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে বড় অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো, যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক-না কেন বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলো অন্তত দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। একই সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি খাতের সক্ষমতাও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন কিছু নীতিগত কর্মসূচি নেয়া প্রয়োজন, যাতে বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়ন ঘটে। ভূমি ব্যবস্থাপনাও উন্নত করা দরকার। এক্ষেত্রে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও শিল্পপার্ক স্থাপন অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে কথা হলো, সংশ্লিষ্ট বিশেষত ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত অংশগ্রহণ থাকতে হবে এগুলোর ব্যবস্থাপনায়। নইলে মিলবে না কাঙ্ক্ষিত সুফল। সেজন্য শিল্পাঞ্চল পরিচালনায় চীন, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিবাচক অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে।

Dr. Sadiq Ahmed

Dr. Sadiq Ahmed

Dr. Sadiq Ahmed began his career as a Lecturer in Economics at the Dhaka University in 1974 and later worked at the Bangladesh Institute of Development Studies as a Research Fellow. Dr. Ahmed did his MSc from London School of Economics and PhD from Boston University. He joined the Young ...

gog