সরকারি রাজস্বের পরিমাণ দেশের চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের
অনেক দেশেই এমনটি লক্ষ করা যায়। তবে আমাদের সমস্যা একটু ভিন্ন। রাজস্ব সংগ্রহের সার্বিক পরিমাণ জাতীয় আয়ের তুলনায়ও অনেক কম। এদিক থেকে অন্যান্য দেশের চেয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে। বাংলাদেশের করভার জাতীয় আয়ের মাত্র ১০ শতাংশে রয়েছে, যেখানে ভারতে তা প্রায় ১৮ থেকে ১৯ শতাংশ। উন্নত বিশ্বে এ হার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশের ওপর। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, উন্নত বিশ্ব তো বটেই, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায়ও আমরা পিছিয়ে। করভার এত কম হওয়ার ফলে চাহিদা অনুযায়ী কোনো খাতেই পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে পারছে না সরকার। সরকারি সেবা বিতরণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে স্বল্প রাজস্বের কারণে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগসহ অন্যান্য ব্যবস্থার উন্নয়নে আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে উন্নয়নের গতি বাড়াতে হলে আমাদের অবশ্যই রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে।
সরকারও এ প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রতি বছর শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ হারে রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। গত দুই বছরে এ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব বেড়েছে, বলতে গেলে একটু বেশি হারেই বেড়েছে। ভবিষ্যতে এ হার ধরে রাখা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। গত ২০ বছরের উপাত্তে দেখা যায়, রাজস্ব বৃদ্ধির বার্ষিক গড় হার শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। প্রতি ১০ বছরে জাতীয় আয়ের ১ শতাংশ হারে বেড়েছে রাজস্ব আহরণ। প্রস্তাবিত হারে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন, যা গত দশকের গড় বৃদ্ধির ৬ গুণ। এ লক্ষ্য আমাদের জন্য অসম্ভব নয়, তবে বেশ কঠিন হবে। এ জন্য আরও জোর দিতে হবে আদায় কার্যক্রমের ওপর। বাস্তবমুখী প্রচেষ্টা নেয়ার পাশাপাশি সংস্কারমূলক কার্যক্রমও জোরদার করতে হবে। এতে অনেক সুবিধা মধ্যমেয়াদে পাওয়া যেতে পারে; কিছু সুবিধা স্বল্পমেয়াদেও আসবে। এক দিনে এ সুবিধা আসবে না, এটি ধরেই এগোতে হবে আমাদের।
এ লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রাজস্বব্যবস্থার আধুনিকায়নে একটি রূপকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রযুক্তির সম্প্রসারিত প্রয়োগ ও আইনের সংস্কার হবে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ সম্পর্কিত একটি প্রকল্প জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রণয়ন করেছে এবং তা জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হয়েছে। এটি নিয়ে তারা সামনে এগিয়ে যাবে। এ পরিকল্পনার ব্যাপ্তি ও গভীরতা অনেক। আইনের সংস্কার এ পরিকল্পনারই একটি অংশ। ভ্যাট আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে এরই মধ্যে। আয়কর আইনের খসড়া প্রণয়নের কাজ চলছে। কাস্টমস আইনের সংস্কারের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। শুধু আইন দিয়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো যাবে না। অতীতেও দেখা গেছে, কেবল আইন দিয়ে রাজস্ব বাড়ানো যায় না। প্রশাসনিক ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজাতে হবে। এর সঙ্গে আধুনিকায়ন করতে হবে কর আহরণব্যবস্থা। কম্পিউটার টেকনোলজি ব্যবহার করতে হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিনিয়র কর্মকর্তারা এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ ঘুরেও এসেছেন। দেখেছেন সেসব দেশের আইন ও রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া। এ পর্যবেক্ষণের আলোকে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা না গেলেও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে আমাদের।
বর্তমান পেক্ষাপটে রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। এটির জন্য পরিকল্পিত ও দৃঢ়ভাবে এগোতে হবে। প্রতিকূলতা থাকবে। রাজস্ব কেউ সহজে দিতে চায় না। এটা আদায় করে নিতে হয়। বাংলাদেশে আয়করদাতার সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম। বাকিদের কাছ থেকেও কৌশলগত উপায়ে রাজস্ব আদায় করে নিতে হবে। এ জন্যই কৌশলগত ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তন দরকার। কর প্রশাসক ও করদাতার মধ্যে সৃষ্টি করতে হবে অবস্থানগত দূরত্ব। বর্তমানে উভয়ের মধ্যে এক ধরনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, যা করব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর। আধুনিক করব্যবস্থায় করদাতা ও সংগ্রহকারীকে সামনাসামনি দেখা হওয়ার কোনো প্রয়োজন হয় না। ৩০ বছর যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় থাকার পরও কোনো কর সংগ্রহকারীর সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। শুধু একটি পোস্ট অফিস বক্সের ঠিকানায় আয়কর রিটার্ন ও চেক পাঠিয়ে দিতাম। সামনাসামনি দেখা না হলেও চিঠি বা ই-মেইলে যোগাযোগ হতো। সমস্যা থাকলেও কোনো সময়ই কারও সঙ্গে দেখা করতে হয়নি। ই-মেইল বা টেলিফোনের মাধ্যমেই সমাধান হয়ে গেছে। আমাদের এখানেও এমনই এক ধরনের দূরত্ব তৈরি করতে হবে। উভয়ের মধ্যে যোগাযোগ হবে আইন ও তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তিতে। করদাতা ও কর সংগ্রহকারীদের মধ্যেও দূরত্ব পূরণ হবে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে। এ জন্য রাজস্ব বোর্ডকে বড় ধরনের ইনফরমেশন টেকনোলজি সিস্টেম চালু করতে হবে। বর্তমানে আয়কর ও ভ্যাট প্রশাসনে তথ্যপ্রযুক্তি নেই বললেই চলে। তবে রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া সহজ করতে কাস্টমস ব্যবস্থায় প্রযুক্তি সম্প্রসারণের কাজ এগিয়ে চলেছে। দাতারাও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
এমন অনেক তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতিনিয়ত সংগ্রহ করছে, যেগুলো বিশ্লেষণের ক্ষমতা তাদের নেই। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গবেষণা ও পরিসংখ্যান বিভাগটি অকার্যকরই বলা চলে। দুঃখজনক যে, এটাকে অভ্যন্তরীণভাবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড বলে মনে করা হয়। অথচ এটিই হওয়া উচিত এনবিআরের মূল কেন্দ্র। এখানে সবচেয়ে ভালো ও দক্ষ লোক নিযুক্ত করা দরকার। এখানে তাদেরই নিয়োগ দেয়া উচিত, যাদের এসব কাজে উত্সাহ আছে। তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমেই কেবল সঠিক রাজস্ব ব্যবস্থাপনা প্রণয়ন সম্ভব। এটি না করা গেলে পরিকল্পনা ও আইন প্রণয়ণের মাধ্যমে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি বাড়ানো যাবে না।
বিশ্বের সব ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ রাজস্ব আসে চাকরিজীবীদের কাছ থেকে। বাংলাদেশের রাজস্ব বেশি আসে করপোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে। এর মূল কারণ খুবই সাধারণ। অন্যান্য দেশে বেতন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়কর কেটে রাখা হয়। আমাদের দেশেও আইন আছে; কিন্তু তা ঠিকমতো মানা হয় না। অন্যদিকে কর আহরণে ভারসাম্য নেই। এখানে আয়ের সঙ্গে করের সামঞ্জস্য নেই। যার বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকা তিনি যে হারে কর দিচ্ছেন, ঠিক একই হারে কর দিচ্ছেন যার বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকা। এতে নষ্ট হচ্ছে করভারের ভারসাম্য। নিয়ম অনুযায়ী যার আয় বেশি, তাকে ২৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। কিন্তু দুর্বল ব্যবস্থাপনার সুযোগে তিনিও ১০ শতাংশ কর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন। সবার জন্যই সমান হার হওয়ায় আয়ের পার্থক্য করের পার্থক্য তৈরি করছে না। যার আয় বেশি তার আয়কর আইনগতভাবে বেশি এবং সেটাই ঠিক। বিদ্যমান উেস কর্তনব্যবস্থাও সঠিকভাবে খাটানো হয় না, বেশির ভাগ মানুষেরই ১০ শতাংশ আয়কর কেটে রাখা হচ্ছে না। যারা চাকরিজীবী এবং বার্ষিক আয় করমুক্ত আয়ের চেয়ে বেশি, তাদের উেস কর কর্তন বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর করা উচিত। বেতন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটা কেটে রাখতে হবে। তদারক করতে হবে, যাতে এ ব্যবস্থা সঠিকভাবে কার্যকর হয়। এ ক্ষেত্রে যাবতীয় লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হওয়াই বাঞ্ছনীয়। উেস কর্তিত করদাতা পরবর্তী সময়ে ট্যাক্স রিটার্ন দিচ্ছেন কি না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এতে রাজস্ব আহরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটা শুধু একটা উদাহরণ। সর্বক্ষেত্রে এমন বহু উদাহরণ রয়েছে। সবাই যথাযথ নিয়ম মেনে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিচ্ছেন কি না তাও খতিয়ে দেখা উচিত। এ ক্ষেত্রে তদন্ত বিভাগকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি তাদের সক্ষমতা ও লোকবল বাড়াতে হবে।
আয়কর ফাঁকি রোধে ভারত শক্তিশালী ট্যাক্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এতে যেকোনো লোকের যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে চিহ্নিত করা সম্ভব। সব বড় ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে করদাতা শনাক্তকরণ সংখ্যা (টিআইএন) ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেউ একটা গাড়ি বা বাড়ি কিনলে সংশ্লিষ্ট সব তথ্য জমা হয় আয়কর বিভাগে। বছরশেষে রিটার্ন দিতে গেলে জমা হওয়া তথ্য বিষয়ে সজাগ থাকতে হয় করদাতাদের। এতে কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগ কমে আসে। কর ফাঁকি দেয়া মানুষের স্বাভাবিক একটা প্রবণতা। এটা থাকবেই। সব দেশের করদাতারা পাতায় পাতায় ঘোরেন। এ জন্যই আমাদের কর প্রশাসকদের অন্তত ডালে ডালে ঘুরতে হবে। তাদের পেছনে ছুটতে হবে। এ ছাড়া কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন কঠিন।
আমাদের অডিট সিস্টেম নেই বললেই চলে। বছরে দুই থেকে আড়াই শতাংশ করদাতাকে অডিট করা হয়। বর্তমান হারে অডিট চললে প্রতি ৪০ বছরে একজন লোককে একবার অডিটের মুখোমুখি হতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একজনের জীবদ্দশায় তার কর কার্যক্রমের কোনো অডিটই হবে না। এটা কর ফাঁকির ক্ষেত্রে বাস্তব কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না। প্রতিটি কোম্পানিকে দু-তিন বছরে একবার অন্তত অডিটের আওতায় আনা উচিত। এটি করতে গেলে রাজস্ব বোর্ডের অডিট ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে কমপক্ষে ১০ গুণ। বর্তমানে অডিটের সিলেকশন হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। একজন মানুষকে সন্দেহবশত অডিট করা হচ্ছে। কোন ধরনের সূচকের ভিত্তিতে এটি করা হচ্ছে, সেটি পরিষ্কার নয়। এখানে অবজেকটিভ ক্রাইটেরিয়া নয়, সাবজেকটিভ ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী অডিট সিলেকশন হয়। এ কারণে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মনে করেন, তারা কর সংগ্রহকারী দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অডিট হওয়া উচিত কেন্দ্রীয় সিলেকশনের ভিত্তিতে। এটার ভিত্তিতে মাঠপর্যায়ে করদাতাকে অডিট করা উচিত। সিলেকশন এবং অডিট উভয়ই মাঠপর্যায়ে সম্পন্ন হওয়া উচিত নয়, যদিও বর্তমানে এটি মাঠপর্যায় থেকেই হয়ে থাকে। কেন্দ্রে কোনো তথ্য নেই, ফলে কেন্দ্রের বিশেষ কিছু করার থাকে না। কেন্দ্র অনেক ক্ষেত্রে যা বলে বা করে, তাতে অনেক সময় রাজনৈতিক প্রভাব থাকে। এটা না হওয়াই কাম্য, হওয়া উচিত বাস্তব তথ্যের ভিত্তিতে।
কর প্রশাসনে বড় পরিবর্তন দরকার। এখন রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া সার্কেলভিত্তিক হয়ে থাকে। একজন কর কর্মকর্তাই সব ধরনের কাজ করেন। তিনি হয়তো অডিট সিলেকশন করছেন, প্রতিবেদন জমা দিচ্ছেন, আয়কর রিটার্ন সংগ্রহ করছেন, কর সংগ্রহ করছেন। বিশ্বে এ ব্যবস্থা নেই। এটা পুুরনো একটা ব্যবস্থা। বর্তমান যুগের কর আদায়ব্যবস্থাটা হচ্ছে ফাংশনাল বেজড। কিছু লোক অডিট করবেন, কিছু লোক ইন্সপেকশন করবেন, রির্টান প্রসেস করবেন কিছু লোক, নোটিস ইস্যু করবেন কিছু লোক, মামলার পেছনে দৌড়াবেন কিছু লোক। সরকার বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি Alternative Dispute Resolution (ADR) ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। এটা ভালো বিষয়। এর জন্য সরকারকে ধন্যবাদ দিতে হবে। পদ্ধতিটি বাস্তবায়নে সরকার ও রাজস্ব বোর্ড বেশ ভালোভাবে এগোছে। শোনা যাচ্ছে, জানুয়ারি থেকে এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে। এটা হলে রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। ভবিষ্যতে মামলা না করে এডিআর ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করে ফেললে সরকার ও করদাতা উভয়ই লাভবান হবেন। আইনের খেলাপ নয়, আইনি কাঠামোর ভেতর থেকে করদাতাকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে বিষয়টির গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ব্যবস্থাটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই বিশ্বাস। সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। এর ওপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশের রাজস্ব প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশিত অর্জন।
লেখক: অর্থনীতিবিদ ও নির্বাহী পরিচালক, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট