যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। নভেম্বরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন।
নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেবেন জানুয়ারিতে। এখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ডেমোক্রেটিক দলের বারাক ওবামা। আসন্ন নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি। বিশ্বের অনেক মানুষেরই দৃষ্টি রয়েছে সেদিকে। বাংলাদেশের সরকার ও ব্যবসায়ীরাও তাকিয়ে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে। সবাই হিসাব কষছেন— কে আসছেন দেশ পরিচালনার দায়িত্বে এবং এর কী প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের রফতানি বিশেষত গার্মেন্ট খাতে।
বিষয়টি একটু খোলাসা করতেই এ নিবন্ধ। শুরুতেই জানিয়ে রাখা ভালো, বাংলাদেশের রফতানি বাড়ার-কমার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সরাসরি সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া কঠিন। এ ক্ষেত্রে ঐতিহ্যগতভাবেই বিষয়টিকে দেখতে পারি আমরা। অনেকেরই হয়তো জানা, ডেমোক্র্যাটদের তুলনায় রিপাবলিকানরা মুক্ত বাণিজ্যে বিশ্বাস করে বেশি। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের সোস্যাল এজেন্ডা, অনেকটা রক্ষণাত্বক। তারাই এখন ক্ষমতায়। তাদের পলিসির বিষয়গুলো আমরা মোটামুটি জানি। এর বাইরে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অমীমাংসিত ইস্যু রয়েছে। তবে সেগুলো ডেমোক্রেটিক বা রিপাবলিকান— কে ক্ষমতায় আছে তার ওপর নির্ভর করে না। উদাহরণস্বরূপ টিকফার কথা বলা যেতে পারে। সেখানে পরিবেশ সুরক্ষা, লেবার স্ট্যান্ডার্ড, চাইল্ড লেবার— এমন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ইস্যু রয়েছে। এগুলো জিইয়ে রাখা হচ্ছে অনেক দিন থেকে। এতে যুক্তরাষ্ট্র বা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় কে থাকছে, তার সম্পর্ক আছে বলে ধারণা করা হবে ভুল। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফল যা-ই হোক, তাদের বাংলাদেশ সংক্রান্ত নীতিতে পরিবর্তন আসবে বলে মনে হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এখনো বিশ্বমন্দার ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি। এর প্রভাব বেশি পড়েছিল ২০০৯ সালে। দেশটিতে বেকারত্বের হার এখনো অনেক বেশি। ২০১০ ও ২০১১ সালে অনেক অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেয় ওবামা প্রশাসন, তথাপি এটি কাটিয়ে উঠতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। এ সময়ে সরকারের বাজেট ঘাটতি বেড়েছে প্রচুর। অন্যদিকে প্রণোদনা দেয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কিছুটা বেড়েছে। তার পরও বলা যায়, মার্কিন অর্থনীতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে এখনো। মূল্যস্ফীতি কম হলেও রিয়েল এস্টেটের মূল্য কমে যাওয়ায় অনেকের সম্পদ কমে গেছে এবং বেকারত্ব বেড়ে গেছে। এর প্রভাব সবার ওপর পড়লেও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। এ কারণে গেল নির্বাচনের মতো এবারও কিছু সামাজিক ইস্যু থাকছে। জনগণ দেখছে, কোন প্রার্থী কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কি নীতি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাটদের ওপরও একটা চাপ থাকবে। যত দ্রুত তারা বাণিজ্য-বাজার প্রভৃতি উন্মুক্তক্তের চিন্তা করছিল, যেমন আউট সোর্সিং; সেগুলো হয়তো প্রভাবিত হবে। এখন সেখানে বাই আমেরিকা, ইনভেস্ট আমেরিকা— এ ধরনের স্লোগান বেশ শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রত্যক্ষভাবে মার্কিন বিনিয়োগের সুবিধাভোগী নয় এবং এ দেশে তাদের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগও কম। ভারত ও চীনে অনেক বেশি বিনিয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্র। তাই বাই আমেরিকা ও ইনভেস্ট আমেরিকা নীতি নিলে প্রভাবটা ভারত-চীনে পড়বে বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রে আমরা প্রধানত রফতানি করি গার্মেন্ট পণ্য। এটা সত্য, ইউরোপ মন্দা আক্রান্ত হওয়ায় এবং সেটি প্রলম্বিত হওয়ায় আমাদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রফতানি পণ্যের বাজার এখনো ভালো। সেখানকার নির্বাচনে মিট রমনি জিতলে রাতারাতি এতে পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয় না। এ দেশের ব্যবসায়ীরা সেখানে গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল পণ্যে ডিউটি ফ্রি প্রবেশাধিকার চাইছে। এটি দেয়া-না দেয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের প্রভাব নেই। তথ্য-উপাত্ত দেখে মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশে তৈরি গার্মেন্ট পণ্য রফতানি বাড়াতে ডিউটি রেট বড় ইস্যু নয়। কেননা ডিউটি থাকা সত্ত্বেও সেখানে আমাদের পণ্যের বাজার ভালো এবং মার্কেট শেয়ার উত্তরোত্তর বাড়ছে বৈ কমছে না। আমাদের প্রতিযোগী চীন, ভারত ও ভিয়েতনামও ডিউটি দিয়ে পণ্য রফতানি করছে সেখানে। এতে বৈষম্যমূলক কিছু নেই। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডেই রয়েছে সবাই। এ ক্ষেত্রে রফতানি বৃদ্ধি এবং আরও বেশি বিনিয়োগ আনা বা আকৃষ্ট করা এ বিষয় দুটি আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন।
আমাদের ইস্যু হওয়া উচিত রফতানিকে বহুমুখী করা। গার্মেন্টে আমরা ভালো করছি এবং ক্রমেই এর ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে দেশের অর্থনীতি। তবে এও সত্য, গার্মেন্টের কাঠামোগত পরিবর্তন হচ্ছে। আগে আমরা স্বল্প দামে পোশাক সরবরাহ এবং অল্প ভ্যালু অ্যাড করতাম। এখন হাই ভ্যালু পণ্য তৈরি এবং তা রফতানি করছি। নিঃসন্দেহে এটি ভালো উদ্যোগ। এরই মধ্যে কিছু ব্র্যান্ড কোম্পানি তৈরি হয়েছে আমাদের। বিশ্বের অনেক নামিদামি ব্র্যান্ড কোম্পানিও চুক্তি করছে আমাদের গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। দেশের অনেক উদ্যোক্তা আরও আপ স্কেলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আপ স্কেলে গেলে প্রতিযোগিতা বাড়বে। এর কী প্রভাব পড়ে, সেটিও দেখতে হবে। লো এন্ডে যে মার্কেট রয়েছে, তাতে আমাদের অবস্থান ভালো বলা চলে। চীন ও ভারতে তৈরি গার্মেন্ট পণ্যের বাজার কমে যাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। ধীরে হলেও উন্নতি করেছি আমরা। তৈরি পোশাকশিল্পের অনেক বিনিয়োগকারীর দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। কারণ আমাদের কস্ট অব প্রোডাকশন কম। এ দেশের উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বায়াররা কম দাম দিতে চাইচ্ছে। আমাদের যেহেতু রিলেটিভ প্রোডাক্টিভিটি ওয়েজ কস্ট লো, সেহেতু তারা এটি করছে বলে ধারণা। এটা অতিরিক্ত কম কি না, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে এবং এর সঙ্গে যুক্ত সোস্যাল ইস্যুও। গার্মেন্টসহ বেসরকারি খাতে সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এটি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কি না, সেটিও দেখা প্রয়োজন। মজুরি বাড়ানোর কিছু স্কোপ রয়েছে অবশ্য। পাশাপাশি দৃষ্টি রাখতে হবে মুনাফা যেন অতিরিক্ত কমে না যায়। এতে উদ্যোক্তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে; আবার অতিরিক্ত মুনাফার চিন্তাও পরিত্যাগ করতে হবে। এসব বিতর্ক আগেও ছিল, এখনো রয়েছে এবং আগামীতেও থাকবে। অনেকেই ধারণা করছেন, টিকফা স্বাক্ষরিত হলে আমাদের কস্ট অব প্রোডাকশন বেড়ে যাবে। এটি সত্য— খরচ হয়তো কিছু বাড়বে, তবে তা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দেবে না। কারণ বাংলাদেশের গার্মেন্ট সেক্টরে চাইল্ড লেবার-সংশ্লিষ্ট ঝামেলা নেই বললেই চলে। কাজের ভালো পরিবেশ তৈরি করা নিয়ে কিছু ইস্যু থাকতে পারে। তাতে মজুরি বাবদ কিছু খবর বাড়তে পারে গার্মেন্ট কারখানার। তবে পরিবেশ রক্ষার ইস্যুটি গার্মেন্ট বা লেদার ইন্ডাস্ট্রির ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা দেখতে হবে।
মার্কিন নির্বাচন অনেক দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বটে। বৈদেশিক নীতির ওপর এর একটি বড় প্রভাব থাকবে। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে কি পরিবর্তন আসবে, তা চিন্তার বিষয়। কারণ দেশটির গ্লোবাল ইন্টারেস্ট যেভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে চীন নিয়ে তারা সত্যই চিন্তিত। চীনের প্রভাব বাড়ায় দক্ষিণ এশিয়া বিশেষত উত্তর-পূর্বের দেশগুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটু বেশিই চিন্তিত। বিদেশীদের জন্য মিয়ানমারের দরজা ক্রমে উন্মুক্ত হচ্ছে। দেশটির ওপর চীনের প্রভাবও আছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র চাইবে ভারত, ভুটান, বাংলাদেশ, নেপাল ও মিয়ানমার— এ অঞ্চলটি চীনের বলয় থেকে বেরিয়ে একটি নিরপেক্ষ জোন হিসেবে কাজ করুক। এসব প্রেক্ষাপটে হয়তো কিছু ইস্যু থাকতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে। বৈদেশিক নীতিতে তাদের যে ভিন্নতা আছে, সেটি প্রধানত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তখন দক্ষিণ এশিয়ার নীতির খুব একটা পরিবর্তন হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়নি। মিট রমনি প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তার ব্যক্তিগত কিছু ইস্যু থাকতে পারে। এর কিছুটা প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে পড়লে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে ওবামা পুনর্নির্বাচিত হলে খুব একটা পরিবর্তন হবে না যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ নীতিতে।
মার্কিন নির্বাচন দেশটির অভ্যন্তরীণ একটি ইস্যু। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাদের অভ্যন্তরীণ কিছু নীতির ওপর প্রভাব পড়বে সত্য। সোস্যাল এজেন্ডা বাস্তবায়নে মিট রমনি তথা রিপাবলিকানরা অনেক কনজারভেটিভ। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা এ ক্ষেত্রে একটু লিবারেল। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে ইমিগ্রেশন হতে পারে একটা বড় ইস্যু। অনেকে মনে করছেন, রিপাবলিকানরা জিতলে আরও কঠিন অবস্থান নেবে। এটা প্রধানত অবৈধ অভিবাসীর ওপর নির্ভরশীল, এতে বৈধদের ওপর প্রভাব পড়বে না। উভয় দলের মধ্যে মতভেদ রয়েছে প্রধানত দক্ষিণ আমেরিকার অভিবাসীদের কেন্দ্র করে। অনেকে মনে করেন, ডেমোক্রেটিক পার্টি বিশেষত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অভিবাসীদের প্রতি বেশি সহনশীল। তিনি পুনরায় নির্বাচিত হলে এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশী অভিবাসীদের ওপর এর প্রভাব খুব একটা পড়বে না। কারণ আমাদের অভিবাসীদের বেশির ভাগই রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। বাংলাদেশীদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ পড়ালেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। বৈধভাবে অবস্থান করলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে ভবিষ্যতে অভিবাসীদের ফ্লো কিছুটা কমার আশঙ্কা রয়েছে।
সর্বোপরি টিকফা ইস্যুটি নিয়ে আমাদের এগোনো উচিত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চুক্তিটি সম্পাদন করা প্রয়োজন। এর ভিত্তিতে বাণিজ্য বহুমুখীকরণের দিকে যেতে পারব আমরা এবং নতুন বিনিয়োগও আসতে পারে বাংলাদেশে। তবে এ দেশের সরকার কিছু ইস্যু নিয়ে চিন্তায় আছে বলে ধারণা। ইস্যুগুলো কী, সঠিকভাবে জানা যাচ্ছে না। পরিবেশ, লেবার রেগুলেশন, শ্রমিকের মজুরি, ইউনিয়ন— এ সবকিছু ইস্যু নিয়ে চিন্তা থাকতে পারে। তবে এগুলো বড় বিষয় নয় বলেই মনে করি, সদ্দিচ্ছাই এখানে বড় সমস্যা।
টিকফার খসড়া পড়ে মনে হয়েছে এটি আমাদের জন্য খারাপ হবে না। এ ক্ষেত্রে চুক্তি বাস্তবায়নের সময় সীমা একটি ইস্যু হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে আমাদের জন্য ইতিবাচকই হবে এটি। আমেরিকার অর্থনীতি অনেক বড়। তাদের বিরাট মার্কেট রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ট্রেড। সেখান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রেমিট্যান্সও আসে এ দেশে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কে জিতলেন, সেটি আমাদের চিন্তা না; বরং কীভাবে আমরা সেখানে বাণিজ্য বাড়াতে পারি সেদিকেই নজর দেয়া উচিত। ডিউটি ফ্রি এন্ট্রি ইস্যুটি নিয়েও খুব বেশি আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। এতে রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে কত দিন থাকব আমরা। এটি একটি রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে গেছে। সাধারণত আমেরিকান অর্থনীতিতে বাধা কম। তবে কিছু দেশের জন্য বাধা আছে, এও ঠিক। চীনকে তারা শত্রু মনে করে। তার পরও দেশটি সেখানে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। ভারত বা আমেরিকা, মার্কেট যে দেশেরই হোক, সেখান থেকে সর্বাধিক সুবিধা নিতে হবে। আমাদের কম্পিটিটিভনেস, প্রোডাক্টিভিটি, টেকনোলজির ব্যবহার বাড়াতে হবে। আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের আনতে হবে আমাদের দেশে। এতে আমরা পাব উন্নত প্রযুক্তি। আমাদের দেশে আমেরিকান বিনিয়োগ খুবই সীমিত। সেটি বার্ষিক দুই থেকে আড়াই শ মিলিয়ন ডলারের বেশি হবে না। অবকাঠামো খাতে আমাদের প্রচুর বিনিয়োগ দরকার। গ্যাস, পেট্রল ও কয়লা উত্তোলন, পোর্ট ও বিদ্যুেকন্দ্র উন্নয়নে আমাদের প্রচুর বিনিয়োগ দরকার। এসব খাতে সরাসরি বিনিয়োগ আনতে পারলে সেটি হবে আমাদের জন্য ইতিবাচক। আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত দেশটিতে যারা ব্যক্তি উদ্যোক্তা, বাংলাদেশের বন্ধু ও লবি আছেন, তাদের সঙ্গে কাজ করা। তাদের বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। এগুলো কাজে লাগিয়ে কীভাবে সম্পদ ও আইডিয়া মবিলাইজ করতে পারি, সেদিকেও জোর দিতে হবে।