গ্রামীণ অর্থনীতির চাহিদা বাড়ালে গতিশীল হবে অর্থনীতি

গ্রামীণ অর্থনীতির চাহিদা বাড়ালে গতিশীল হবে অর্থনীতিসময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোগত অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অতীতে পরিসংখ্যান ও জাতীয় আয়ের উেসর ভিত্তিতে বাংলাদেশকে বলা হতো কৃষিনির্ভর রাষ্ট্র। এখন আর তা বলা যাচ্ছে না। এখন আমাদের শিল্প খাত কৃষির চেয়ে অনেক এগিয়ে। যদিও জিডিপিতে সেবা খাতের অবদান এখন সর্বাধিক। আমাদের অর্থনীতিতে কৃষিভিত্তিক খাদ্যশস্যের ভূমিকা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। মোট জিডিপিতে এর হিস্যা ১০ শতাংশ বা তারও কম। শস্য খাতের হিস্যা কমলেও সামগ্রিক কৃষির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য খাতের প্রবৃদ্ধি ও হিস্যা বাড়ছে। এর মধ্যে আছে পোলট্রি (হাঁস/মুরগি), মাছ ও মাংস। শাকসবজি ও ফলমূল চাষের প্রবৃদ্ধি ও পরিমাণ বাড়ছে দ্রুত।

কৃষির বর্তমান অবস্থানগত পরিবর্তন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়েছে এবং এতে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন পর্যায় পর্যালোচনা করলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠবে। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ শতাব্দীতে ৯৫-৯৮ শতাংশ লোক কৃষির ওপর নির্ভরশীল ছিল। বর্তমান চিত্র ঠিক তার উল্টো। ৯৮ শতাংশ লোক শহর বা উপশহরে বসবাস করছে এবং ২ শতাংশ পরিবার কৃষিকাজে নিয়োজিত এবং তারাই ১০০ শতাংশ নাগরিকের খাদ্যশস্য পুরোপুরিভাবে মিটিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য রফতানি করছে। বাংলাদেশে যদিও কৃষির ওপর নির্ভরশীলতা কমছে, তবু ৬০-৬৫ শতাংশ পরিবার এখনো গ্রামে বসবাস করে এবং এ বিপুল জনগোষ্ঠীর আয় ও তাদের আর্থিক গতিশীলতা আমাদের সবসময় নজরদারিতে রাখতে হবে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে, যা ভালো লক্ষণ নয় বলে এরই মধ্যে প্রতীয়মান। গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাহিদাগত দুর্বলতা বা মন্দা দেখা দিচ্ছে। পরিসংখ্যানভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন তেমনই ইঙ্গিত দেয়। যদিও এর জন্য মাঠপর্যায়ের বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন। তবে বিভিন্ন প্রয়োজনে গ্রামে যাতায়াত করার পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিভিন্ন শ্রেণী-গোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে। গ্রামের চাহিদা মন্দার মূল কারণ দুটি। এক. উৎপাদক শ্রেণী কৃষিপণ্যের যৌক্তিক দাম পাচ্ছে না। ধানের মূল্য বর্তমানে উৎপাদন খরচের চেয়ে কম। মৌসুমের প্রথম দিকে শাকসবজির দাম ভালো পেলেও পরবর্তীতে একেবারেই কমে যায়। ১ টাকা কেজি দরেও শিম বিক্রির খবর পত্রিকায় এসেছে। বাঁধাকপি ও মুলা গরু দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে দাম না পাওয়ার কারণে। এতে কৃষকের আয়ের উৎস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি আমরা যথাযথভাবে শনাক্ত এবং সমাধান করতে ব্যর্থ হলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পারব না। দুই. গ্রামীণ অর্থনীতির আরেকটি আয়ের উৎস হলো রেমিট্যান্স। সেখানেও দুর্বলতা দেখা দিচ্ছে সম্প্রতি। গত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১ শতাংশ ঋণাত্মক ছিল রেমিট্যান্সপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি। রেমিট্যান্সের একটি বড় অংশ সরাসরি গ্রামীণ অর্থনীতিতে যুক্ত হয়ে গ্রামের প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করছে। অদক্ষ শ্রমিকরা মূলত যাচ্ছে বিদেশে। আমাদের প্রবাসী শ্রমজীবীদের অধিকাংশ অদক্ষ এবং এদের প্রায় সবাই আসছে গ্রামীণ অঞ্চল থেকে। তাদের পরিবার-পরিজন গ্রামে বসবাস করে। ফলে যে রেমিট্যান্স দেশে আসে, তার একটি বড় অংশ গ্রামে চলে যায়। এ অর্থ গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাহিদা সৃষ্টি করে। প্রধানত এটি ভোক্তা চাহিদা তৈরি করছে। তারা ইলেকট্রনিক পণ্য, মোটরসাইকেল কিনছে, পাকা বাড়ি তৈরি করছে। এভাবে গ্রামে তৈরি পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতে এ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এ প্রবাহ ধরে রাখতে না পারলে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি যে হুমকির মুখে পড়বে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

দেশে ৬০ শতাংশ লোকের আয়ের সমস্যা দেখা দিলে বৈষম্য বাড়বে বৈকি। সম্পদের বণ্টনও বাধাগ্রস্ত হবে। আমাদের জাতীয় অর্থনীতির গতিশীলতা রক্ষার দুটি দিক রয়েছে। একটি হলো বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধি এবং অন্যটি ভোক্তার চাহিদা বৃদ্ধি। ভোক্তা চাহিদায় দুর্বলতার অন্যতম কারণ কৃষিপণ্যের মূল্য না পাওয়া, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং রেমিট্যান্সের অপ্রতুলতা। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবি। সরকার হয়তো কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে, তবে তার সুফল এখনো দৃশ্যমান হচ্ছে না। সরকার চাল আমদানির ওপর আমদানি কর বসিয়ে কৃষকের পণ্যের মূল্য ধরে রাখার ব্যবস্থা করেছে। যদিও এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়, তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল। এভাবে পরোক্ষ বাধা দিয়ে চালের দাম বিশ্ববাজারের চেয়ে উচ্চমূল্যে বেশি দিন ধরে রাখা যৌক্তিক হবে না। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম নির্ধারণ করতে হবে। নইলে চোরাচালান হবে, ভোক্তারাও বঞ্চিত হবেন। তাছাড়া কৃষি খাতে আমরা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে আছি। সরকারি তথ্য মোতাবেক বাংলাদেশের চালের উৎপাদন প্রতি হেক্টরে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তাহলে আমাদের কেন সুরক্ষা দিতে হবে? আগামীতে আমরা যদি চাল রফতানির কথা ভাবি, তাহলে আমদানির ওপর কর ধার্য করা যৌক্তিক হবে না। মূল কাজটি এমনভাবে হতে হবে, যাতে দেশের কৃষকরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারেন। এক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা আরো বাড়াতে হবে, উৎপাদন ব্যয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। এতে ভোক্তা ও কৃষক উভয়ই লাভবান হবেন।

রেমিট্যান্সের ব্যবহার নিয়ে অনেকে চিন্তিত হলেও আমি নই। কেননা যারা এ অর্থ হাতে পান, তারা জানেন কোথায় তা খরচ করতে হবে। অনেকেই রেমিট্যান্সের অর্থ দিয়ে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছেন। বাড়ি সামাজিক ও অর্থনৈতিক মানদণ্ড বাড়ায়। পাকা পায়খানা তৈরি করছেন অনেকে। তারা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন। চিকিৎসা খরচ মেটাচ্ছেন। এগুলো তারা করবেন। কোনোটিই অপ্রয়োজনীয় নয়। তারা অর্থনীতিতে চাহিদা সৃষ্টি করছেন। বিনোদনের চাহিদাও মেটাচ্ছেন। টিভি কিনছেন, পার্কে বেড়াতে যাচ্ছেন। এগুলো তারা করতেই পারেন। পণ্য ও সেবা উৎপাদন করা হয় ভোগের জন্যই। এতে অর্থনীতিই গতিশীল হয়। এক্ষেত্রে সরকারি প্রচেষ্টা হবে— কীভাবে বিদেশে আরো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যায় এবং অদক্ষ শ্রমিকদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা যায়।

আমাদের কৃষি খাতে যান্ত্রিকীকরণ ঘটছে, তা সত্য। এর দরকার রয়েছে। উৎপাদন খরচও বাড়ছে। উৎপাদন খরচ বাড়ার অন্যতম কারণ কৃষি শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি। মজুরি বৃদ্ধি ভালো খবর। কারণ এতে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত হবে এবং দারিদ্র্য কমবে। জীবনযাত্রার মানও বাড়বে। দৃষ্টি রাখতে হবে যেন উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমেই মজুরি বাড়ে, তা না হলে এটি মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেবে এবং কৃষিপণ্যের সরবরাহকে অনিশ্চিত করবে। সেক্ষেত্রে কৃষি খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে, যা আমরা অনেকাংশে সফলভাবে করতেও পেরেছি। এখন আমরা জমি চাষ থেকে শুরু করে অন্য অনেক কাজেই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করতে পেরেছি। উৎপাদক শ্রেণী দ্রুততার সঙ্গে প্রযুক্তি আয়ত্ত ও তা ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রেও কিছু সাবধানতা অবশ্য বজায় রাখা দরকার। কী পরিমাণ কীটনাশক কিংবা সার ব্যবহার এবং কখন করা হবে, সে সম্পর্কে কৃষকদের আরো সচেতন করে তুলতে হবে। ধান কাটা থেকে মাড়াইয়ের কাজ ক্রমেই যন্ত্রনির্ভর হয়ে যাচ্ছে। সন্দেহ নেই, এতে উৎপাদনশীলতা দ্রুত বাড়বে। আমাদের উৎপাদন খরচও কমবে। ফলে কৃষিতে উদ্বৃত্ত শ্রমিক তৈরি হবে। তাদের আমরা অকৃষি কাজে নিয়োজিত করতে পারব। এটি আমাদের সার্বিক অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করবে। কৃষিকেও লাভজনক করবে।

আরেকটি দিকে আমাদের নজর দিতে হবে, তা হলো পণ্যের বহুমুখীকরণ। কৃষকরা এরই মধ্যে পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্য নিয়ে এসেছেন। আমাদের দেশের কৃষি এখন আর ধাননির্ভর নেই। এখন আমিষের চাহিদা বাড়ছে। গরুর দুধ, মাংস, মুরগির ডিমের চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। কৃষকরা গরু, মুরগি, হাঁস পালনে জোর দিচ্ছেন। তারাই দুধ, মাছ ও ডিমের চাহিদা মেটাচ্ছেন। এখন ভুট্টার চাহিদাও বেড়েছে। আমরা ভুট্টা আমদানি বাড়িয়েছি। এক্ষেত্রে এর উৎপাদন বাড়ানো যেতে পারে। সবজি ও ফলের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু আমাদের সবজি ও ফলের বেশি ভিন্নতা নেই এবং গুণগত মানও খুব ভালো না। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন নতুন জাত উদ্ভাবন ও আবাদে নজর দিতে হবে। আমাদের পেয়ারা, পেঁপে এবং অন্যান্য ফলের জাত উন্নত হয়েছে বটে, কিন্তু এখনো থাইল্যান্ডের মতো হয়নি। এ জায়গাগুলোয় খেয়াল রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনে গবেষণায় বরাদ্দ আরো বাড়াতে হবে।

আমাদের কৃষিপণ্যের মান নিয়ে নিজেরাই চিন্তিত। আমরা কেমিক্যাল ব্যবহার করছি ফল টাটকা রাখতে ও পাকাতে। সবজিতেও কেমিক্যালের ব্যবহার বহুগুণ বেড়েছে। এটি ধ্বংসাত্মক প্রবণতা। দেশের বাইরে বাংলাদেশের ফল ও সবজি সংরক্ষণ করা হয়। সেটা করা হয় কোল্ডস্টোরেজের মাধ্যমে। আমরা শুধু আলুর ক্ষেত্রেই তা ব্যবহার করছি। কিন্তু সবজি ও ফলের ক্ষেত্রে যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। প্রয়োজনে ফল ও সবজি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনে নজর দিতে হবে। আমরা দক্ষিণ আমেরিকা আর আফ্রিকা থেকে এখন ফল আমদানি করি। সেটা করছি কীভাবে। কোল্ডস্টোরেজের মাধ্যমেই ফল আসছে সমুদ্রপথে এক মাস ধরে। যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থার কারণে সেটি বিনষ্ট হচ্ছে না। আবার আমাদের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বা ফুড প্রসেসিং শিল্প এখনো পুরোপুরি গড়ে ওঠেনি। আমরা পেয়ারার জেলি কিংবা কমলার জুসের সঙ্গে মিষ্টি কুমড়া ও চিনি মিশিয়ে দিচ্ছি। এ প্রবণতা থেকে ব্যবসায়ীদের বেরিয়ে আসতে হবে এবং সরকারকে গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ও কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ভোক্তাকে দেশীয় উৎপাদন থেকে বিমুখ করছে এবং ভোক্তার চাহিদা কমিয়ে দিচ্ছে। অনেকেই দেশী ফল খেতে চান না। তারা ধরেই নেন দেশীয় ফলে ফরমালিন এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মেশানো আছে। ভোক্তাদের দেশীয় ফলের প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে। এবং তা আমাদেরই করতে হবে এবং বর্তমান বাজার ব্যবস্থাতেই সেটি সম্ভব। এদিকে সরকারের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

গ্রামীণ অর্থনীতির আরেকটি দিক হলো নন-ফার্ম সেক্টর। ফার্ম সেক্টর নিয়ে আগেই অনেক কথা বলেছি। নন-ফার্ম সেক্টর বলতে বোঝাতে চেয়েছি, গ্রামে যে লোকটি রিকশা, ভ্যানগাড়ি, নসিমন বা সিএনজি চালান কিংবা স্থানীয় বাজারে দোকানদারি করে তাদের জীবনযাত্রা চালাচ্ছেন বা আয় বৃদ্ধি করেন। রাস্তার পাশে আঙ্গুর, কমলা, ওরালপানীয় বিক্রি হচ্ছে। কোচিং সেন্টার হয়েছে, কিন্ডারগার্টেন হয়েছে। ব্যক্তিখাতের হাসপাতাল ও ক্লিনিক হয়েছে— এসবই নন-ফার্ম সেক্টরের একেকটি উদাহরণ। গ্রামীণ অর্থনীতিতে নন-ফার্ম সেক্টরের হিস্যা বাড়ছে। এরা সরাসরি কৃষির সঙ্গে জড়িত না হলেও পরোক্ষভাবে জড়িত। অর্থাৎ ফার্ম সেক্টরের উত্তরোত্তর উন্নয়নের সঙ্গে নন-ফার্ম সেক্টরেরও উন্নয়ন হয়। উৎপাদনশীলতা বাড়তে থাকে। একটি অন্যটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রবাসীদের পাঠানো আয়ও এ কৃষি-বহির্ভূত খাতের প্রবৃদ্ধির সহায়ক হবে। উভয় খাতকে প্রস্ফুটিত করতে হবে সমানভাবে এবং সেজন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতকে একযোগে কাজ করতে হবে। এসব মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপ আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে সাহায্য করবে। এতে ৬০ শতাংশ মানুষের আয় বাড়বে। বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্যও পূরণ করা সম্ভব হবে। দারিদ্র্যও কমে আসবে এবং দারিদ্র্য বিমোচন টেকসই হবে। এতে গ্রামভিত্তিক কৃষি, শিল্প ও সেবা খাত আরো বিকশিত হবে এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি নতুন মাত্রা লাভ করবে।

Dr. Ahsan H. Mansur

Dr. Ahsan H. Mansur

Dr. Mansur started his career as a Lecturer, Department of Economics, Dhaka University in 1976. He left for Canada for higher studies in economics in the same year. As a graduate student and research assistant, he was also offering regular economics courses at the undergraduate level at the University of ...

gog