কয়েক সপ্তাহ আগে একজন টিভি সাংবাদিক আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ যে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তীর্ণ হতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি আমার একটি সাক্ষাত্কার নিতে চান। এর একদিন বা দুদিন আগে আমি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে অর্থমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞায়িত উচ্চ মধ্যম আয়ের (ইউএমআইসি) সীমা অতিক্রম করবে। আমি এ দুটি কথোপকথনের সহজ মিল টানতে পারছিলাম না।
এর পর দেশের উন্নয়ন পারফরম্যান্স পরিমাপে ব্যবহূত তথ্য, পদ্ধতি ও পন্থা আমি কিছুটা খতিয়ে দেখি। একজন পেশাদার অর্থনীতিবিদ হিসেবে পরিসংখ্যানগত পন্থার ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ সচেতন। আমি এটাও জানি যে, অর্থনীতিবিদরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থনে পরিসংখ্যানের বিশ্লেষণ করেন। এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো, অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী দুই অর্থনীতিবিদের গল্প— শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন ফ্রিডম্যান ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস টবিন। ফ্রিডম্যান ছিলেন অর্থকেন্দ্রিক (মনোটেরিস্টস), যিনি বিশ্বাস করতেন অর্থনৈতিক কার্যক্রমের জন্য একমাত্র অর্থ সরবরাহই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে টবিন ছিলেন কেইন্সিয়ান, তার যুক্তি ছিল একমাত্র রাজস্বনীতি গুরুত্বপূর্ণ। মনোটেরিস্টম বনাম কেইন্সিয়ানের দর্শন দশকের পর দশক ধরে বিদ্যমান। এদের সমর্থকরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থনে এবং নিজেদের জয়ী ঘোষণা করার জন্য অত্যাধুনিক পরিমাণগত পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোস্যাল কাউন্সিলের (ইসিওএসওসি) এলডিসি নির্ণয় পদ্ধতি তিনটি মান ব্যবহার করে স্বল্পোন্নত দেশ নির্ণয় করে— ১. মাথাপিছু আয় ২. মানবসম্পদ ও ৩. অর্থনৈতিক দুর্বলতা। মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক দুর্বলতাকে প্রতিটি ক্যাটাগরির কিছুসংখ্যক ভেরিয়েবলের একটি কম্পোজিট ইনডেক্স হিসেবে গণনা করা হয়। প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য প্রান্তিক মান (থ্রেশহোল্ড) সংজ্ঞায়িত করা হয় কোন দেশ এ তালিকায় যোগ হবে আর কোন দেশ উত্তীর্ণ হবে— তা চিহ্নিত করার জন্য। বিশ্বব্যাংকের আয়ের শ্রেণীবিন্যাসে শুধু অ্যাটলাস মেথডের ওপর ভিত্তি করে সংজ্ঞায়িত আয়ের মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়।
এদিকে এখন একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি নির্দেশ করতে বিভিন্ন বৈশ্বিক নির্দেশক যুক্ত হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই) এবং সোস্যাল প্রগ্রেস ইম্পেরেটিভের সামাজিক অগ্রগতি সূচক (এসপিআই)। ওয়ার্ল্ভ্র ইকোনমিক ফোরামও (ডব্লিউইএফ) অর্থনৈতিক এবং সামাজিক নীতি ও প্রতিষ্ঠানের উন্নতি-সংক্রান্ত একটি উপকারী কম্পোজিট ইনডেক্স প্রকাশ করে, যেটিকে বলা হয় গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্স (জিসিআই), যা বিভিন্ন দিকের বিবেচনায় একটি দেশের উন্নতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার ভালো উপস্থাপনা।
একটি দেশের উন্নতি ও পারফরম্যান্সের এ নির্দেশকগুলোর প্রতিটির বিস্তারিত বর্ণনায় যাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই, এমনকি আমি এ নির্দেশকগুলোর কোনোটারই পক্ষ নিতে ইচ্ছুক নই। যে পয়েন্টটা আমি পরীক্ষা করতে ইচ্ছুক তা হলো— দুই চূড়ান্ত মতামতের: ক. জাতিসংঘের ইসিওএসওসি মনে করছে, বাংলাদেশ এখনো এলডিসি তালিকাভুক্ত এবং এ তালিকা থেকে ক্রমান্বয়ে উত্তীর্ণ হবে একমাত্র ২০২৪ সাল নাগাদ এবং খ. দেশের অর্থমন্ত্রী মনে করছেন, ওই সময়ের মধ্যে ইউএমআইসির স্ট্যাটাস অর্জন করার জন্য সঠিক পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ— সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে কীভাবে সর্বোত্তমভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন পারফরম্যান্স মূল্যায়ন ও শ্রেণীভুক্ত করা যাবে। বর্তমানের ৪৮টি দেশ নিয়ে এলডিসির তালিকা পর্যবেক্ষণ করলে যে কেউ অবাক হয়ে ভাবতে পারেন, ১৫-২০ বছর ধরে শক্তিশালী উন্নতির হিসাবে কি বাংলাদেশের সত্যি এ তালিকায় থাকা উচিত? টেবিলে দেখানো তালিকা অনুযায়ী ৩২টি দেশ আফ্রিকার, আটটি পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিকে, তিনটি মধ্যপ্রাচ্য, চারটি দক্ষিণ এশিয়ায় এবং একটি ক্যারিবিয়ান। এ দলে বাংলাদেশ বৃহত্তম দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে আফগানিস্তান, ভুটান ও নেপাল।
১৬ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশের মতো একটি দেশকে ৫০ লাখ জনগণের চেয়ে ছোট অর্থনীতিগুলোর (ভুটান, মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিক, কমোরোস, কঙ্গো, জিবুতি, গাম্বিয়া, নিরক্ষীয় গিনি, গিনি বিসাউ, কিরিবাতি, লেসোথো, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, পূর্ব তিমুর, টুভ্যালু ও ভানুয়াতু) সঙ্গে একই দলে রাখায় এ তালিকাকরণের বাস্তবাদিতা ও নীতি প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ দেশগুলো মোট এলডিসির এক-তৃতীয়াংশ। এদের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি দেশের নাগরিক ১০ লাখেরও নিচে।
দ্বিতীয় ইস্যুটি হলো, তালিকায় থাকা অন্যদের সঙ্গে পারফরম্যান্সের তুলনা করা। সবচেয়ে নিকটতম সংক্ষিপ্ত নির্দেশক হলো এইচডিআই, যেটা করে ইউএনডিপি, যা আয় ও কল্যাণের কম্পোজিট ইনডেক্সও। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য ২০১৪ সালের। ১৮৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪২ এবং ঠাঁই হয়েছে ‘মাঝারি মানব উন্নয়ন’ ক্যাটাগরিতে। যেখানে কেনিয়া (১৪৬), পাকিস্তান (১৪৭), নাইজেরিয়া (১৫২), ক্যামেরুন (১৫৩), জিম্বাবুয়ে (১৫৫) এবং আইভরিকোস্ট (১৭২)— সবার ঠাঁই হয়েছে ইউএনডিপির ‘নিম্ন মানব উন্নয়ন’ ক্যাটাগরিতে কিন্তু এরা এলডিসি গ্রুপে নেই।
আয় ও মানবসম্পদ অন্তর্ভুক্ত (যা এলডিসির শ্রেণীকরণেরও প্রধান দুই মানদণ্ড) একটি নির্দেশকে, যেখানে বাস্তব ও অর্থপূর্ণ উপায়ে এ ছয় দেশকে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ, সেখানে বাংলাদেশকে এলডিসিভুক্ত করা কতটা যুক্তিসঙ্গত? তার ওপর শিল্পজাত রফতানি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দিক থেকে বাংলাদেশের রফতানি পারফরম্যান্স এ সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। তাই এই এলডিসিবহির্ভূত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের বাহ্যিক অর্থনৈতিক দুর্বলতা অনেক কম। পরিষ্কারভাবে এ ছয় এলডিসিবহির্ভূত দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশকে এলডিসিভুক্ত করার ক্ষেত্রে একটি পদ্ধতিগত সমস্যা রয়েছে বলে মনে হয়।
উন্নয়ন পারফরম্যান্সের আরেকটি ব্রড-বেজড কম্পোজিট ইনডেক্স হলো এসপিআই, যেটা করে সোস্যাল প্রগ্রেস ইম্পেরিটিভ, যার নেতৃত্ব দেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক মাইকেল পোর্টার। এ ইনডেক্সে সামাজিক উন্নতি সম্পর্কে বলা হয়, ‘নিজের নাগরিকের মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণ করার, বিল্ডিং বল্কস স্থাপন করার, যা নাগরিক ও কমিউনিটিকে নিজেদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি ও টেকসই করার সুযোগ দেবে এবং প্রতিটি ব্যক্তি যেন নিজের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে— এমন পরিস্থিতি তৈরি করার একটি সমাজের সক্ষমতা।’
২০১৬ সালের র্যাংকিংয়ে তালিকায় ঠাঁই পাওয়া ১৩৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০০তম। বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে ভারত (১০১), কেনিয়া (১০৪), ক্যামেরুন (১১৪), পাকিস্তান (১২২) ও নাইজেরিয়া (১২৫) থেকে। এ দেশগুলো জাতিসংঘের ইসিওএসওসির শ্রেণীবিন্যাসকৃত এলডিসির তালিকায় নেই। মজার বিষয় হলো, মানুষের মৌলিক চাহিদা (বিএইচএন) ও ফাউন্ডেশন অব ওয়েল-বিইং (এফডব্লিউ) পূরণের নির্দেশকে বাংলাদেশ আরো ভালো সফলতা দেখিয়েছে (যথাক্রমে ৯৭তম ও ৯৫তম)। আবারো এলডিসিবহির্ভূত এ দেশগুলোর তুলনায় এলডিসিভুক্ত বাংলাদেশের রেটিং পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, যেকোনো অর্থপূর্ণ নীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে।
সর্বশেষ পয়েন্ট, নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন যেটিকে গুরুত্ব দিয়েছেন, তা হলো— উন্নয়নের সংজ্ঞা ও প্রাসঙ্গিকতা। মাথাপিছু আয়ের চেয়ে তিনি উন্নয়ন পারফরম্যান্সের আরো মৌলিক নির্দেশক হিসেবে দীর্ঘায়ু বা আয়ুষ্কালের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। এক্ষেত্রে গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৮ বছর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৩টি দেশের মধ্যে ১০২তম। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক এলডিসিবহির্ভূত দেশকে পেছনে ফেলেছে, যার মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (১২০), ফিলিপাইন (১২৪), ভারত (১২৫), পাকিস্তান (১৩০), কেনিয়া (১৪৯), দক্ষিণ আফ্রিকা (১৫১), জিম্বাবুয়ে (১৬০) ও নাইজেরিয়া (১৭৭)।
অর্থনৈতিক এবং সামাজিক নীতি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অগ্রগতি প্রসঙ্গে জিসিআই একটি অর্থনীতির পরিপক্বতা ও উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এর সক্ষমতা নির্দেশ করে। জিসিআই ২০১৬-১৭ র্যাংকিংয়ে ঠাঁই পাওয়া ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৬। এ র্যাংকিং অপেক্ষাকৃত নিম্ন কিন্তু এর পরও এলডিসিবহির্ভূত দেশ ঘানা (১১৪), ক্যামেরুন (১১৯), পাকিস্তান (১২২), জিম্বাবুয়ে (১২৬) ও নাইজেরিয়ার পারফরম্যান্সের তুলনায় ভালো।
এখানে ব্যবহূত প্রমাণ উন্নয়ন পারফরম্যান্সের বহু বিকল্প মাপকাঠি ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ইউএনডিপির করা মাপকাঠিও, এটি নির্দেশ করছে যে উন্নয়ন পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রুপে থাকতে পারে না। এ তালিকায় থাকলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় পাওয়া যায় কিন্তু এ যুক্তি বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নয়ন পারফরম্যান্স কমিয়ে বলার জন্য যথেষ্ট নয়। অনেক দিক থেকে যেমন— উচ্চ আয় প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাস, মানব উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের দিক থেকে বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সামনে একটি ইতিবাচক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশকে অনুকরণ করে দেশগুলো এ তালিকা থেকে মুক্তি পেতে পারে। অন্যদিকে এ গ্রুপে রাখার মাধ্যমে যেমন একদিকে বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নয়ন পারফরম্যান্সকে ছোট করে দেখা হচ্ছে, তেমনি এ ধরনের ভালো কাজকেও দুর্বল করা হচ্ছে।
বাণিজ্যের দিক দিয়ে বাংলাদেশ শিল্পজাত রফতানির ক্ষেত্রে শক্তিশালী অগ্রগতি অর্জন করেছে। টেকসই নীতির অগ্রগতিতে বাংলাদেশ সহজেই কিছু বাণিজ্যিক সুবিধা হারানোর লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে। গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের রফতানি প্রবৃদ্ধি ছাড়ের শর্তে বাজারে প্রবেশাধিকার পাওয়ার চেয়ে স্থানীয় সরবরাহ সীমাবদ্ধতার কারণে বেশি বাধাগ্রস্ত হয়। এলডিসিকে ব্যবহার করে ব্যবসায় সুবিধা খোঁজার চেয়ে বরং বাংলাদেশে নীতি তৈরির ক্ষেত্রে সঠিক নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে বিদ্যমান সরবরাহ সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে ওঠার দিকে বেশি মনোযোগ দেয়া উচিত।
বাংলাদেশ যে একটি স্বল্পোন্নত দেশ নয়, তার শক্তিশালী প্রমাণ রয়েছে, কিন্তু ২০৩০ সালে অথবা তার আগে ইউএমআইসি স্ট্যাটাস অর্জন করতে পারবে কিনা, এটি এখনো একটি প্রশ্ন। সম্ভাবনার দিক থেকে বাংলাদেশ আশাবাদী হতে পারে। কিন্তু এ সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দেয়া সহজ কাজ নয়। বড় ধরনের নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজন পড়বে। অবকাঠামো ও ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে গুরুত্ব দেয়ার সঙ্গে বিনিয়োগ হার বর্তমানে জিডিপির ২৮ থেকে বাড়িয়ে ৩৪ শতাংশে নিয়ে যাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ। বাণিজ্যনীতির সংস্কারের মাধ্যমে রফতানি বহুমুখীকরণের প্রয়োজন পড়বে। কর, আর্থিক খাত, ভূমি বাজার, ব্যবসায়িক ব্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও নগরায়ণসংশ্লিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার অপরিহার্য হবে।