ফিসক্যাল ক্লিফ নামক বিপজ্জনক খাদের কিনারায় এসে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র— শুনেও
অনেকের ভাবান্তর নেই। তাদের ভাবখানা হলো, ওখানে যা হয় হোক, তাতে আমার কী? আপনার মনোভাবও যদি এমনটিই হয়, সবিনয়ে অনুরোধ করব আরেকবার চিন্তা করুন। অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন নয়, একবিংশ শতাব্দীর পারস্পরিক আন্তঃসম্পর্কযুক্ত এক জগতে বাস করছি আমরা। ফলে ১০-১২ হাজার মাইল দূর থেকে কেবল ফিসিক্যাল ক্লিফ সার্কাস দেখব; আমার গায়ে ফুলের টোকাটিও পড়বে না— এমন ধারণা ভ্রান্ত বৈকি। ভুলে যাননি নিশ্চয়ই। কিছু দিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পুনর্নির্বাচিত হলেন। এরই মধ্যে বিশ্বের অনেক শেয়ারবাজার ইউরো অঞ্চলের ঋণসংকটে ক্ষত-বিক্ষত। এখানকার অনেক বিনিয়োগকারীরই কিন্তু অজানা ‘ফিসক্যাল ক্লিফ’ নতুন আবিষ্কৃত কোনো চূড়ার নাম কি না। অথচ যেই তারা শুনলেন ওবামাকে ফিসক্যাল ক্লিফ পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হতে পারে, আর তা দুশ্চিন্তার বিষয়। সঙ্গে সঙ্গে সেটির প্রতিফলন দেখা গেল বাজারে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাকিদের জন্যও বড় চিন্তার বিষয় এ ফিসক্যাল ক্লিফ। কার্যতই ওয়াশিংটনের রাজনীতিকরা যদি সমস্যাটি দূরীকরণে ঐকমত্যের ভিত্তিতে দ্রুত একটি চুক্তিতে উপনীত হতে না পারেন— কর্মসংস্থান ও আয় পরিস্থিতিতে বড় ধাক্কা খাবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, বিশ্ব অর্থনীতির উদীয়মান শক্তিগুলো এবং দেশটির সঙ্গে যাদের বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে তারা।
শুরুতে ‘ফিসক্যাল ক্লিফ’ সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নেয়া প্রয়োজন। নইলে আলোচনা এগিয়ে নেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। কথাটা হলো, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের আগে মার্কিন আইনপ্রণেতারা নতুন চুক্তি তৈরি না করলে বাতিল হয়ে যাবে জর্জ ডব্লিউ বুশের নেয়া কর ছাড়ের নীতি। এতে মার্কিন নাগরিকদের সব ধরনের আয়কর বাড়বে শতকরা ৩৫ থেকে ৩৯ দশমিক ৬ হারে। দেশটির লাখো জনগণের ওপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরোপ হবে অল্টারনেটিভ মিনিমাম ট্যাক্স (এএমটি)। সামাজিক নিরাপত্তায় ২ শতাংশ হারে পেরোল ট্যাক্স হলিডের বিধান করে দেন ওবামা। এটি তামাদি হয়ে যাবে তখন। বাতিল হয়ে যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণায় দেয়া ট্যাক্স ক্রেডিটও। এদিকে ওবামা প্রণীত অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার ট্যাক্স অ্যাক্ট অনুযায়ী উচ্চ আয়ের মানুষের কাছ থেকে অধিক হারে কর আহরণ শুরু হওয়ার কথা ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে। চলতি বছরের মধ্যেই ওয়াশিংটনের নীতিনির্ধারকরা একমত হতে না পারলে, সামরিক (অর্ধেক) ও বেসামরিক (অর্ধেক) ব্যয় সংকোচন করা হবে প্রতি বছর ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার হারে— সংকট নিরসনের আগ পর্যন্ত। অনেক মার্কিন বেকার বর্ধিত সুবিধা পেতেন এত দিন; এ কর্মসূচিটির মেয়াদ শেষ হবে চলতি ডিসেম্বরে। তখন প্রায় ৩০ শতাংশ হ্রাস পাবে চিকিত্সকদের পারিশ্রমিক তথা মেডিকেয়ার ডক ফিক্স। বর্তমানে আমেরিকায় ঋণের উচ্চসীমা (ডেট সিলিং) বেঁধে দেয়া হয়েছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে। দেশটির অর্থনীতি ২০১৩ সালের শুরুতেই সে সীমায় পৌঁছবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। এ সীমাটি ডিসেম্বরের মধ্যে বাড়ানো না গেলে বড় সমস্যায় পড়বে মার্কিন অর্থনীতি। আর ৩১ ডিসেম্বরে জড়ো হওয়া এসব সমস্যাকে একত্রে বলা হচ্ছে ফিসক্যাল ক্লিফ।
ওবামার উচিত ছিল, প্রথম মেয়াদেই এ সমস্যাগুলো মিটিয়ে ফেলা। কিন্তু সেটি করতে পারেননি তিনি। এদিকে কংগ্রেসে এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান পার্টি। তাদের আবার স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে রাজস্ব আহরণ ও সরকারি ব্যয়-সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণ বিষয়ে— যেগুলো ডেমোক্রেটিক পার্টির আদর্শগত অবস্থান থেকে বেশ দূরেই রয়েছে বলা যায়। এমন পরিস্থিতিতে কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের পক্ষে কঠিন হবে তার দলের মনমতো সমঝোতায় পৌঁছতে। অনেকেই বলছেন, ফিসক্যাল ক্লিফ নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক হবে।
সদ্যসমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল, এমন সমর্থন নিয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরবেন ওবামা, যাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতেও তাকে কারও মুখাপেক্ষী হতে না হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঘটেনি সেটি। ফলে ওবামা এখন আর সরাসরি কিছু করতে পারছেন না। ফিসক্যাল ক্লিফ জটিলতা নিরসনে তথা সমঝোতায় আসতে শুধুই রিপাবলিকান নীতিনির্ধারকদের রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে তাকে। ঘুরিয়ে বললে, চলতি নির্বাচনে ওবামা ওয়াশিংটনে আসার পথে পেয়েছেন এক খোঁড়া হাঁস- হাউস অব কংগ্রেস। ফলে এ ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছতে খানিকটা সময় তো লাগবেই!
এখন দেখা, যুক্তরাষ্ট্র ও বাকিদের অর্থনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলবে ফিসক্যাল ক্লিফ? স্বাধীন সংস্থা কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) বলছে, কিছু আইন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়ায় চলতি বছরের মধ্যে মার্কিন কংগ্রেস ফেডারেল বাজেট ঘাটতি ও সরকারি ঋণের বোঝা (দুটিকে একত্রে ফিসক্যাল কনসলিডেশন বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে ইদানীং) কমানোর প্রশ্নে উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য চুক্তিতে উপনীত হতে না পারলে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়বে করের ভার ও সংকুচিত হবে সরকারি ব্যয়। তখন এমন ব্যবস্থা চালু হবে, যাতে প্রথম পর্যায়েই ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য কমবে ৭০ হাজার কোটি (জিডিপির ৪ শতাংশ) ডলারের ফেডারেল বাজেট ঘাটতি। সে ক্ষেত্রে কী ঘটবে? সিবিওর হিসাব মতে, জিডিপি ৪ শতাংশ সংকুচিত হয়ে পড়লে আমেরিকায় বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়াবে ৯ দশমিক ১ শতাংশে। এ পরিস্থিতিটিই রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা নয়। তার ওপর আগের নীতিটি পুনরায় কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০ কোটি আমেরিকান দেখবে— উচ্চ হারে কর বসেছে তাদের আয়ের ওপর। এর সঙ্গে আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকা ১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ঋণের উচ্চসীমাকে যোগ করে নিন। কোথাও আলো দেখতে পাচ্ছেন কি? ঋণের উচ্চসীমা বাড়ানো না হলে কিন্তু তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে বাজার ও বিনিয়োগকারীর মাঝে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ওবামাকে দেখাতে হবে রাষ্ট্রনায়কোচিত পারফরম্যান্স। এরই মধ্যে ২০১৩ সালের জন্য গ্লোবাল ইকোনমিক আউটলুকের আরও নিম্নগামী মূল্যায়ন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংশ্লিষ্টরা ভুলে যাননি নিশ্চয়ই, ২০১২ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আইএমএফ উল্লেখ করেছিল— মার্কিন অর্থনীতিতে বড় আকারে রাজস্ব সংকোচনের উদ্যোগ নেয়া হলে (বলা যায় যুক্তরাষ্ট্র ফিসক্যাল ক্লিফের খাদে পড়লে), সেটি হবে বৈশ্বিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রাথমিক ঝুঁকি। বলা বাহুল্য, দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে যত দেরি হবে, বাকি বিশ্বে ততই সৃষ্টি হবে ‘স্পিলওভার ইফেক্ট’। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ঋণের উচ্চসীমা বাড়াতে দেরি করলে অস্থিরতা বাড়বে আর্থিক বাজারে; ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে ব্যবসায়ী ও ভোক্তার আত্মবিশ্বাস।
সত্য সত্যই ফিসক্যাল ক্লিফ নামক খাদে পড়লে, যে ধরনের কঠোর করনীতি ও ব্যয় সংকোচন প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হবে, তাতে নিস্তেজ মার্কিন অর্থনীতির পুনরুদ্ধার তো ত্বরান্বিত হবেই না, উল্টো আরও দুর্বল হয়ে পড়বে সেটি। যদি অর্থনৈতিক তত্ত্বগুলো থেকে প্রকৃতপক্ষেই কোনো নির্দেশনা মেলে, তাহলে বলতে পারি— মন্দা চলাকালে সাধারণ বাজেট ঘাটতি থেকে রূপান্তরিত সরকারি ঋণ থেকে মুক্ত হতে তথা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কাজে আসবে না কঠোর করনীতি; বরং ওটি যুক্তরাষ্ট্রকে আরও গভীর মন্দায় ফেলে দিতে পারে। অবস্থাদৃষ্টে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান কিন্তু বলেই চলেছেন— ভুল ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে; অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও প্রবৃদ্ধির গতি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত, সরকারি ব্যয় বাড়ানো তথা বাজেট ঘাটতি আরও বড় করা। যেকোনো অর্থনীতির দুর্বল পারফরম্যান্সের সময় সংকোচনমূলক নীতি আসলে কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে বেশকিছু উদ্বেগজনক প্রশ্ন উত্থাপন করেছে ইউরো অঞ্চলে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের অভিজ্ঞতা। তাই দেখা যায়, জার্মান অর্থমন্ত্রী উলফগ্যাং স্কিউবলের বিরক্তি সত্ত্বেও ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ) সাম্প্রতিক কালে অনেকটাই শিথিলতা দেখাচ্ছে ইউরোভুক্ত দেশের ঘাটতি ও ঋণ কমানোর গতি বিষয়ে। বিশেষত গ্রিস, স্পেন ও পর্তুগালের মতো ‘অবরুদ্ধ’ অর্থনীতিকে এ ক্ষেত্রে বেশ সময়-সুযোগ দিচ্ছে সংস্থাটি। আরেকটি বিষয় রয়েছে লক্ষ করার মতো। সেটি হলো, অনেক দেশের মোট শ্রমশক্তির এক-চতুর্থাংশের গায়ে বেকারত্বের লেবেলই কিন্তু সাঁটিয়েছে ইউরোপে গৃহীত ব্যয় সংকোচনমূলক নানা পদক্ষেপ। ফলে মোটামুটি একই ব্যবস্থা আমেরিকায় জেঁকে বসলে, তা থেকে ভিন্ন ফল আশা করাটা সঙ্গত হবে না।
ব্যয় হ্রাস ও কর বৃদ্ধি বা সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া কি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার ভিন্ন উপায় নেই? আছে একটি অপ্রচলিত ধারণা; যে আইডিয়ায় কিছু সংখ্যক কট্টর আমেরিকান ছাড়া কারও আস্থা নেই। সেটি হলো, একই সঙ্গে সরকারি ব্যয় হ্রাস ও কর ছাড়। ওসব গোঁড়া রক্ষণশীলরা বিশ্বাস করেন, এভাবে বিনিয়োগে প্রণোদনা জোগানো যায়! ভালো কথা। কিন্তু প্রণোদনাটি যদি কাজ না করে? যদি ব্যয় সংকোচনে আরও নাজুক হয়ে পড়ে অধিকাংশ মানুষ এবং পাশাপাশি কর ছাড় ধনী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে তেমন উত্সাহ জোগাতে ব্যর্থ হয়? কী হবে তাহলে? সহজেই অনুমেয়, এতে বাজেট ঘাটতি ও সরকারি ঋণের বোঝা বাড়বে আরও। মনে হয় না এমন একটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ (বলা যায় প্রায় আত্মঘাতী) সিদ্ধান্ত নিতে সাহস দেখাবেন কোনো দেশের রাজনৈতিক সরকার।
হয়তো ভাবছেন, এসবের প্রভাব কি-ই আর পড়বে আমাদের ওপর? কিন্তু আগেই বলেছি, গভীরভাবে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত এ বিশ্বে বিছিন্নভাবে ‘সুখ-দুঃখ’ উপভোগের সুযোগ নেই। বিশ্ববাজার চাঙ্গা থাকলে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে; মন্দা চললে তার প্রভাব কিছুটা হলেও পড়বে আমাদের ওপর। কথাটি আরও বেশি খাটে যুক্তরাষ্ট্রের বেলায়। এখন পর্যন্ত আমাদের সর্ববৃহত্ রফতানি খাতের সবচেয়ে বড় একক রফতানি বাজার এ দেশটিই। ফলে ফিসক্যাল ক্লিফে পড়ে ওয়াশিংটনে চাহিদা কমে গেলে সেটির আঁচ এসে লাগবে ঢাকায়ও। এতে মালিকের মুনাফা কমবে, কর্মীর আয় কমবে আর কমবে কর্মসংস্থান। একবারে ভেবে দেখুন স্থানীয় গার্মেন্টশিল্পে কত নারী-পুরুষ কাজ করেন। এদের কিয়দংশও বেকার হয়ে পড়লে বিকল্প কর্মসংস্থান জোগানো যাবে? এতে নারীর ক্ষমতায়ন পরিস্থিতিইবা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
এখন প্রশ্ন হলো, ফিসক্যাল ক্লিফ পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াচ্ছে? আমার মনে হয়, সদ্য শেষ হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্কিন ভোটাররা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন— সরকারি ব্যয় ও করনীতি নিয়ে রাজনৈতিক মতদ্বৈধতা দেখতে চান না তারা; তারা চান উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ। এটি বুঝতে পেরেই হয়তো হাউস স্পিকার জন বোয়েনার ও ওবামা নিজেদের দলীয় অবস্থান থেকে খানিকটা সরে এসেছিলেন কয়েক দিন আগে। তবে বিষয়গুলো নিয়ে দলীয় রেষারেষি মনে হয় দূর হয়নি এখনো। এমন পরিস্থিতিতে ওবামা কতটা রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকা রাখতে পারবেন— সেটিই বড় প্রশ্ন। এতে তিনি সফল হলে তা আমাদের জন্যও সুখবর। আর ফিসক্যাল ক্লিফ বিষয়ে যদি ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা ঐকমত্যে পৌঁছতে না পারেন? সে ক্ষেত্রে শুধু বাংলাদেশ কেন, বিশ্ববাজারে এর কতটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে— তা আগেভাগে বলা যে কারও পক্ষে কঠিন।